পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে কোন না কোন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতা।
আজ শুক্রবার(১০ সেপ্টেম্বর) আটোয়ারী বাজারে ভাড়ি দামে বিক্রি হচ্ছে তেল ও পেঁয়াজ।
আটোয়ারীতে বাজার করতে আসা ক্রেতারা বললেন, বাজারে এসে যদি শুনতে হয় পণ্যের দাম বেড়েছে, এখন এই দামে কিনতে হবে। তাহলে আমাদের কিছুই করা থাকছে না।
এভাবে নিয়ন্ত্রনহীন বাজার আর কতদিন চলবে। প্রত্যেক সপ্তাহে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছেই। যা কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একদিনের ব্যবধানে লিটার প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম।
কেজি প্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। তবে মাছ ও কাঁচা বাজারে দামের খুব বেশি হেরফের হয়নি।
অন্যদিকে বয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪০ থেকে ১৪৫ বিক্রি হচ্ছে।
আর কোম্পানি ভেদে বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, পাম সিপার তেল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা এবং, শুক্রবার সকালে আটোয়ারী ফকিরগঞ্জ বাজার,বারঘাটি বাজার , পাল্টা পাড়া বাজার, পল্লী বিদ্যুৎ মোড় বাজার,তোড়িয়া বাজার, মির্জাপুর বাজার, রাধানগর বোর্ড বাজার, পাটশিরী বাজার, বারো আউলিয়া বাজার, রানীগঞ্জ বাজার,এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে, হু হু করে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম। প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৮০ টাকা,রসুন ৮০ থেকে ১৪০ টাকা,আদা ৮০ থেকে ১৮০ টাকা,হলুদ ১৮০ থেকে ২২০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে।
এদিকে বাজারে নতুন চাল আসার পরেও দাম হেরফের হয়নি।
ক্রেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মিনিকেট ও নাজিরশাইল ৫৫ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে প্রতিকেজি বি আর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৫০ টাকা,মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা,নাজিরশাইল ৬২থেকে ৬৪ টাকা,মোটা চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেলে ১২০ টাকায়।
আলাপকালে ক্রেতারা বলেন, আমরা যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত তারা আর কুলিয়ে উঠতে পারছি না।
১যদি লিটার তেল কিনতেই ১৫০ টাকা খরচ হয় তাহলে অন্য আর কি বাজার করব। যে পেঁয়াজ দই দিন আগেও কিনলাম ৩৫ টাকা করে কেজি। আজ তা কিনতে হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
তবে মাছের দাম আগের মতই আছে বলে জানান ক্রেতারা।
তবে মাংসের বাজারে,সোনালি মুরগির কেজি ২০০ থেকে ২৩০ টাকা,ব্রয়লার ২০০ থেকে ২২০ টাকা (যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৯০ টাকা) খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
ডিমের হালি ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে আরো জানা যায় একজন বেসরকারি কর্মকর্তা বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতি যাচ্ছে। গত রাতেই বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম।
এমন ঊর্ধ্বগতির বাজারে মধ্যবিত্তদের পরিবার-পরিজন নিয়ে এই প্রেক্ষাপটে টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ভাববার বিষয় পঞ্চগড়ের খাবার হোটেল গুলোতে, হঠাৎ করে ৫ টাকা চায়ের কাপ ১০ টাকায় বিক্রি করছে এ নিয়ে প্রায় হোটেল মালিকের সাথে ভোজন রশিকদের কথা কাটাকাটি করতে দেখা যায়।
ভোজনরশিকরা বলেন হঠাৎ করে একটা জিনিসের দাম ডাবল হতে পারে না। আমরা কি মগের মুল্লুকে বাস করছি এসব বিষয়ে কি মনিটরিং হয়না।
Leave a Reply