ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে তিন দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয় বিভিন্ন সড়ক আর ব্রীজ কালভার্টের।পানির প্রবল তোড়ে বেশ কয়েকটি সড়কের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এর মাঝে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের কুকুরিয়া ব্রিজটি ভেঙ্গে ধ্বসে পড়ে যায়।বন্যা পরবর্তী আট মাসেও কুকুরিয়া ব্রীজটি পুনঃনির্মাণ না হওয়ায় উপজেলায় অন্তত ৩০ টি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা চরম ব্যহত হচ্ছে।এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
ভাঙা সড়ক দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। গত আট মাসেও মেরামত করা হয়নি ভেঙে যাওয়া সেতুটি। এতে চরম ভোগান্তিতে হরিপুর,পূর্বভাগ-চৈয়ারকুড়ি ও গোকর্ণ অঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
গোকর্ণ গ্রামের স্থানীয়রা জানান,গত ৮ মাস ধরে এই সেতুটি ভেঙে পড়ে থাকায় মানুষকে ফসলি জমি দিয়ে চলাচল করতে হয়। আর বৃষ্টি হলেই সেখানে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়’।
এ সড়কে চলাচলকারী একটি বেসরকারি চাকুরীজীবি বলেন আমি চাকরি করি। প্রতিদিন এ ভাঙা সড়ক এবং ব্রীজের পাশ দিয়ে চরম কষ্ট করে চলাচলে অনেক সময় লাগে। এ ছাড়া সেতু ভাঙা থাকায় নাসিরনগর সদর হয়ে ৩টি যানবাহন বদলে জেলা শহর বা রাজধানী ঢাকায় যেতে হয়। এতে ভাড়াও অনেক বেশি লাগছে।’
পরিবহন চালকরা জানান, সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যাত্রীরা যেমন ভোগান্তিতে তেমনি এখানে গাড়ি চালাতে গিয়ে গাড়ির অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এ সড়ক ও সেতুটি দ্রুত সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানান তারা।
নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক আর কুকুরিয়া সেতুটি মেরামতের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুদান পেলেই সড়ক ও সেতুটির মেরামত কাজ শিগগিরই শুরু হবে।
Leave a Reply