এগিয়ে এলেন সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর’
কেশবপুরে অতিবর্ষনে বিল বুড়ুলিয়া এলাকায় কমপক্ষে ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ী ছাড়াও চলাচলের রাস্তা-কবরস্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনে সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর নেতৃত্বে স্বেচ প্রকল্প শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে বিল বুড়ুলিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে ঐ বিলের সব মৎস্য ঘেরসহ আশপাশের প্রায় ১৪টি গ্রামের নিচু অঞ্চলের অধিকাংশ ঘরবাড়ী, রাস্তা-ঘাট, কবরস্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। পেটের তাড়নায় পানিবন্ধি মানুষ কাঁদা-পানি মাড়িয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে। এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এক ধরনের ঝুকি নিয়ে পানিবন্ধি রাস্তা পারাপার হয়ে স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে। তাছাড়া পানিবন্ধি এলাকায় পানিবাহিত রেগের প্রদূর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে,বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বিল বুড়ুলিয়ায় প্লাবিত গ্রামগুলো হচ্ছে- বুড়–লিয়া,সারুটিয়া, কৃষ্ণনগর,চুয়াডাঙ্গা,দশকাহুনিয়া,সুফলাকাটি,হৃদ,ঘাঘা, পাথরা, হাড়িয়াঘোপ, কায়েমখোলা, নরায়নপুরসহ প্রায় ১৪টি গ্রামের নিন্মাঞ্চল। তাছাড়া অতি বৃষ্টিতে বিল বুড়ুলিয়ায় প্রায় আড়াই শতাধিক ছোট-বড় মৎস্য ঘের ও কাঁচা ফসল তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে।
এদিকে বিড় বুড়ু-লিয়ায় মৎস্য ঘের রক্ষা ও এলাকা থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান,বিশিষ্ট সমাজসেবক ও আওয়ামীলীগ নেতা জনাব মন্জুর রহমানের তত্বাবধানে গত ২৯ সেপ্টেম্বর-২১ তারিখ হতে বুড়ুলী গেটের মাথায় ৩০ টি বড় স্যালোম্যাশিন দিয়ে স্বেচপ্রকল্পের কাছ শুরু করেছে এবং এই স্বেচের কারনে প্লাবিত এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। গত বছর জলাবদ্ধতার কারনে এই বিলের কৃষকরা যখন ধান চাষে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে হতাশয় দিন গুনছিলেন ঠিক তখনই কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন এই মঞ্জু চেয়ারম্যান। তিনি স্বেচ প্রকল্পের মাধ্যমে বিলে ধান চাষে উপযোগী করে তুলে এলাকার কৃষকদের মুখে সোনালী হাসি ফুটিয়েছিলেন।
এব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রধান শিক্ষক এস.এম মনজুর রহমান জানান, পানিবন্ধি ১৪ গ্রাম,মৎস্য ঘের ও ক্ষেতের কাঁচা ফসল বাঁচাতে আওয়ামীলীগের নেতা এস.এম রুহুল আমীন স্যারের দিক নির্দেশনায় এই স্বেচ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এতিমধ্যে অতি বৃষ্টিতে বিল বুড়ূলিয়ার সকল মৎস্য ঘের ও বিলের আশপাশের ডাঙ্গা জমিতে লাগানো কাঁচা সবজিসহ বিভিন্ন জাতের ফসল তলিয়ে গিয়ে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই স্বেচ প্রকল্প সঠিকভাবে চলতে থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঘের, ফসলী জমি, বসতবাড়ী ও রাস্তা থেকে পানি নেমে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply