কেশবপুর পৌরসভার সভাকক্ষে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে কোভিডকালীন সরকারী পরিষেবায় দলিত জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক এডভোকেসী সভা রবিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা দলিত পরিষদের সভাপতি সুজন দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ, প্যানেল মেয়র মনোয়ার হোসেন মিন্টু, অধ্যাপক মশিউর রহমান, কাউন্সিলর বি এম শহিদুজ্জামান শহিদ, আফজাল হোসেন বাবু, আছিয়া খাতুন, খাদিজা খাতুন, আছমা খাতুন, জি এম কবির, সাংবাদিক দিলীপ মদক, প্রভাষক কুন্তল বিশ্বাস, দলিত প্রতিনিধি হরেকৃষ্ণ দাস, রবিন দাস, নিবাস দাস, রুপবান দাস, বিশ্বনাথ দাস, অনিল দাস, জাহিদা বিশ্বাস ও পিয়া দাস।এডভোকেসী সভায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও সঞ্চালনা করেন পরিত্রাণ প্রদীপ প্রকল্পের সমন্বয়কারী রবিউল ইসলাম, এফএফ তন্দ্রা দত্ত।
মুক্ত আলোচনায় পৌরসভায় বসবাসরত দলিতদের প্রতি কোনো প্রকার নির্যাতন, ঘৃনা বা বৈষম্যে প্রদর্শন করা হলে আপনাকে পৌরসভার অভিভাবক হিসেবে সেটার সম্মানজনক আশু উদ্যোগ গ্রহন করা সহ প্রয়োজনীয় সংবিধানের আলোকে জনগুরুত্বপূর্ন জায়গায় (হোটেল, সেলুন, রেষ্টুরেন্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, প্রার্থনালয় মসজিদ, মন্দির , গীর্জা) বৈষম্যের চর্চা বন্ধের নোটিশ প্রদান করা, পৌরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটিতে দলিত জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার জন্য দলিতদের অংশগহ্রণে একটি উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করা, পৌরসভায় সরকারী সেফটিনেট কর্মসূচী (বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিএফ কার্ড, ভিজিডি, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রনোদনায়, রাস্তাঘাট. কালভাট, দূর্যোগকালীন ত্রাণ, আবাসন, আশ্রয়ণ) ইত্যাদি-তে দলিত জনগোষ্ঠীকে বিশেষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তর্ভূক্ত করা সহ দলিত এলাকাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন বিবেচনায় আনা, সরকারের গৃহায়ন কর্মসূচী (যেমন গুচ্ছগ্রাম, আদর্শগ্রাম ও আশ্রায়ন)-এ দলিত জনগোষ্ঠীকে অন্তুর্ভূক্ত করতে হবে ও সেগুলোতে নাগরিক সকল সুবিধা নিশ্চিত করা, পৌরসভায় বসবাসরত ভুমিহীন দলিত জনগোষ্ঠীকে তদন্ত পূর্বক ভুমহীন প্রত্যয়ন পত্র দেওয়া সহ খাস জমি স্থা’য়ী বন্দোবস্তের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিতকরন করা সহ প্রয়োজনীয় ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহন করা, পৌরসভার আর্থিক বাজেটে দলিতদের উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ ও ব্যায়ের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা পৌরসভায় বসবাসরত দলিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাস্তবায়ন করা, পৌরসভা কর্তৃক ধার্য্যকৃত হোল্ডিং ট্যাক্স দলিতদের আর্থসামাজিক অবস্থাকে বিবেচনা করে সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনা, যশোর টু চুকনগর মহাসড়কের উন্নয়ন কাজের ফলে রাস্তার পাশে বসে যেসকল পাদুকা শিল্পী কাজ করে তাদের বসার জায়গা সংকুচিত হওয়ায় বিকল্প স্থানে তাদেরকে বসার ব্যবস্থা করা, দলিত পাড়ায় পানি নিষ্কাসনের বিষয়ে আরো গুরুত্ব প্রদান করাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
ইমেইলে।
Leave a Reply