: বাংলাদেশে এই প্রথম গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের হাত ধরে যাত্রা শুরু করলো ‘মৃত ব্যক্তির জন্য ভ্রাম্যমাণ গোসলখানা ‘।করোনাকালীন সময়ে করোনা আক্রান্ত রোগীকে দাফন-কাফন-সৎকার সহায়তা দিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের।এবার তাদের সেবায় যুক্ত হলো মৃত ব্যক্তির জন্য ভ্রাম্যমাণ গোসলখানা। একটি এ্যাম্বুলেন্সকে ভ্রাম্যমাণ গোসলখানা হিসেবে রুপান্তর করা এই গাড়িটির ভিতরেই করোনায় মৃত ব্যাক্তিকে গোসল ও কাফন এর যাবতীয় ব্যবস্থা রয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে গাউসিয়া কমিটির তিনটি স্থায়ী গোসলখানা থাকলেও ভাম্যমান গোসলখানা এই প্রথম তৈরি করা হয়েছে যা বাংলাদেশেও প্রথম।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ভ্রাম্যমাণ গোসলখানার উদ্ভোধন করা হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান।আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মহসিন সাহেবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন, শেখ ফজলে রাব্বি,চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ কমিয়নার,যুগ্ম -মহাসচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল,এরশাদ খতিবী,আহসান হাবীব চৌধুরী হাসান,মাওলানা আবদুল্লাহ প্রমূখ।
প্রধান অতিথি কামরুল হাসান বলেন,দেশ বিদেশে করোনায় মৃত ব্যক্তির প্রতি অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে করোনা মহামারির শুরু থেকে গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা জীবন বাজি রেখে মানবতার সেবায় নিবেদিত আছেন। তিনি সকলকে এ মহৎ কাজে সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানান।
গাউসিয়া কমিটির লাশ দাফন-কাফন কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন,করোনা রোগীকে গোসল ও কাফন এ নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছিল আমাদের সেচ্ছাসেবকদের।সেই অভিজ্ঞতা থেকে লাশের গোসল ও কাফন সমস্যা দূর করতে ভ্রাম্যমাণ গোসলখানাটি তৈরি করা হয়েছে। এ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে লাশের গোসল ও কাফন এর ব্যবস্থা রয়েছে। এর ফলে মৃত ব্যক্তির বাসার সামনে বা যেকোনো জায়গায় করোনা রোগীকে গোসল করতে সমস্যা হলে ভ্রাম্যমাণ গোসলখানার গাড়িতে করা যাবে।
Leave a Reply