নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছেলের হাতে পিতা খুনের মামলায় পুলিশ ঘাতক ছেলে বাপ্পি(২০)কে
গ্রেফতার করেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পুলিশ তাকে কদমরসুল কলেজ
মাঠপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
পিতা নিহত হওয়ার খবর পেয়ে
ঘাতক ছেলে এলাকায় ফিরে এলে এলাকাবাসী বাপ্পিকে আটক করে খুব গোপনে সুএে পুলিশ খবর পেয়ে বন্দরের কদমরসুল মাঠপাড়া থেকে বাপ্পি কে গ্রেফতার করেন।
এই মাঠপাড়া এলাকার বিল্লাল ড্রাইভারের স্ত্রী হেলেনা ১ বছর
পূর্বে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে মারা যায়।
পরে ড্রাইভার বিল্লাল ছেলে মেয়ের
দেখা শুনার জন্য ৩ মাস পূর্বে দ্বিতীয় বিয়ে করেন এই সৎ মা সংসারে এসে ছেলে মেয়েকে নিজেন সন্তানের মত দেখা শুনা করে বলে বাড়ির
লোকজন সভায় জানান।
এদিকে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলে বাপ্পি পিতার
উপর নাখোশ ছিল।
সেও চায় বিয়ে করতে। পিতা বিল্লাল ছেলে বাপ্পিকে
বলে তোমার বিয়ের বয়স হয়নি। বিয়ে বয়স হলেই বিয়ে করাব।
এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি
থেকে বের হয়ে যায়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভোরে পিতা বিল্লাল ফজরের
নামাজে মসজিদে গেলে ছেলে বাপ্পি পিতার ঘরে গিয়ে লুকিয়ে থাকে।
পিতা বিল্লাল নামাজ আদায় করে নিজ ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়লে ঘাতক
ছেলে বাপ্পি পিতা বিল্লালকে উপর্যপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার
চিকৎকার শুনে সৎ মা আমেনা বেগম জেগে গেলে তাকেও উপর্যপরি
ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। বাড়ির লোকজন স্বামী-স্ত্রীকে মুর্মূষ
অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে নিয়ে ভর্তি করে।
চিকৎিসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পিতা বিল্লাল
হোসেনের মৃত্যু ঘটে। এদিকে সৎ মা আমেনা বেগম হাসপতালে
মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে বন্দর থানায়
হত্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে ঘাতক ছেলে বাপ্পি পিতার মৃত্যুর সংবাদ
পেয়ে এলাকায় ফিরে এলে এলাকাবাসী ও বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে
পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এ
ব্যপারে বন্দর থানার ওসি দিপক চন্দ্র জানান, নিহতের লাশ ঢাকা
মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্ত হয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আর ঘাতক ছেলে বাপ্পিকে গ্রেফতার করা হয়েছে
Leave a Reply