শেরপুরের নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন ; ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
২৩ আগস্ট সোমবার বিকাল ৫:২০ মিনিটের সময় শেরপুর সদর হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান নকলা পৌরসভার কায়দা এলাকার মৃতঃ আব্দুল হামিদ-এর ছেলে।
আজ ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ মিনিটের সময় নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মরহুমের যানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় উপস্থিত ছিলেন হাজারো জনতা। উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী। উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী।
যানাজায় মুঠো ফোনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাংসদ, সাবেক কৃষিমন্ত্রী অগ্নি কন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী। মরহুম সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন সাংসদ।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন নকলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ । নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক।জানাযায় নকলা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান লিটন, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াজ কুরুনী। সহ অসংখ্য নেতাকর্মী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শেরপুর পৌরসভা মেয়র, নকলা মেয়র, নালিতাবাড়ী মেয়র। শেষে কায়দা বাজারদী গোরস্থানে সমাহিত করা হয়।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। নকলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের অফিস সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট তালিকা নং ১০৩৯ ও লাল মুক্তিবার্তা তালিকা নং ০১১৪০৩০২৪৬। তিনি হাজী জালমামুদ কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
তিনি ছিলেন ১৯৬৯ সালে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ,নকলা উপজেলা শাখার সভাপতি, স্বাধীনতা উত্তর সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের একজন স্বনামধন্য নেতা ও বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কালালের ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা, তিনি বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে হারিয়ে ১৯৭৩ সালের ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেল থেকে যুক্তিবিদ্যা বিভাগের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আজ উনার মৃত্যুতে নকলাবাসী হারালো একজন জ্ঞানপিপাসোকে।
Leave a Reply