মুক্তি টিভি (HD)
গত ২১ মে ২০২১ রোজ বৃহস্পতিবার রাত অনুমান সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের চাঁনপাড়া আলমগীর মেম্বারের বাড়ির পূর্ব পাশে বাড়ির ভেতর একটি উঁচু জমিতে গ্রামের প্যাঁচা বাড়ির মৃত ফালান ফকিরের ছেল ৩ সন্তানের জনক হত দরিদ্র রহমত আলী কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।এ হত্যাকান্ড নিয়ে বুড়িশ্বর গ্রাম সহ সমগ্র ইউনিয়নে বইছে নানা অালোচনা সমালােচনার ঝড়।এলাকায় সরে জমিন গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রহমত আলীর ভাই মহব্বত আলী জানায় এই খুনের ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাহার নাসিরনগর থানার হত্যা মামলা নং ২৩। বাদী সহ আশ পাশের লোকজন সাংবাদিকদের অারো বলেন, এ হত্যাকান্ডের মূল হোতা বা পরিকল্পনাকারী গ্রামের মৃত নুর ইসলাম চৌধুরীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য অালমগীর চৌধুরী রয়েছে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। যে ২২জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে তারা নিরপরাধ ও এ বিষয়ে কিছুই জানে না।ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা এ কাজ করেছে।অালমগীরের সাথে যাদের পূর্ব বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা রয়েছে তাদেরকে এ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবী করেন অাসামী পক্ষের লোকজন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস অাই জুলুস খান পাঠান ও ওসি এটিএম অারিচুল হকের খাম খেয়লীপনায় ও কর্তব্যে অবহেলার কারনে খুনের পরিকল্পনাকারী ও মুল হোতা অালমগীর চৌধুরী পুলিশ প্রহরা থাকার পরও ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।এখনো পুলিশ অালমগীর চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি। নিহত রহমত আলীর স্ত্রী রোকিয়া বেগম বলেন আমার স্বামীকে বিকাল চার ঘটিকার সময় আলমগীর চৌধুরী ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।তারপর আর ফিরে আসেনি। রাত ১১ ঘটিকার সময় আমার ভাসুরের মাধ্যমে শুনতে পারলাম আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
নাসিরনগর থানায় যোগাযোগ করে ওসি এটিএম অারিচুল হকের কাছে রহমত অালী খুনের বিষয়ে ও হাসপাতাল থেকে অালমগীর চৌধুরীর পলায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যামেরার সামনে মুখ খোলতে রাজি হননি ওসি এটিএম অারিচুল হক।
Leave a Reply