রংপুর বিভাগের কিছু অঞ্চল নিয়ে তথাকথিত রয়েল ফিড লিঃ নামক এক প্রতারক কোম্পানি ব্যবসায়ের নামে প্রতারণা করে যাচ্ছে। এই কোম্পানি টির নিজস্ব কোন ফ্যাক্টরী নেই। নেই কোন প্রকার কর্পোরেট অফিসও। অথচ এই কোম্পানির এমডি রিফাত (৪০), যার বাড়ি বরিশালে, এবং এমডির স্যালক নজরুল (৩৫) কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দা সহ দুজন মিলে চালিয়ে যাচ্ছে এই প্রতারণামুলক সিন্ডিকেট টি।
তারা বিভিন্ন ঠিকানায়, তাদের ফ্যাক্টরী ৪টি ( ১. গুরুদাসপুর, নাটর, ২. পাবনা সদর, পাবনা ৩. ময়মনসিংহ এবং ৪. পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও) বলে উল্লেখ করলেও, মুলত তাদের নিজস্ব একটিও কারখানা নেই। নেই কোন বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিউশন (BSTI) কর্তৃক স্বীকৃতিও। তাদের ফিড কোম্পানির সাংগঠনিক মালিক সমিতি কর্তৃক গঠিত ফিড ইন্ডাস্ট্রিস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ, (FIAB) ঢাকা এর কোন সদস্য পদও নেই।
তবুও তারা নির্দিধায় অন্য কোন কোম্পানির ফ্যাক্টরী থেকে সর্বনিম্ন মানের ফিড ভায়া হয়ে উৎপাদন করে নিয়ে বাজারে নিজস্ব ফ্যাক্টরী পন্য বলে চালাচ্ছে। আর এই নিম্ন মানের পন্যের কারনে ক্রেতা ও ভোক্তারা সকলেই প্রতারিত হচ্ছে।
এই নিম্ন গুনাগুনের পন্য গুলো যখন ডেট এক্সপায়ার্ড হয়ে যাচ্ছে, তারপরেও তারা পন্য বাজার থেকে সরাচ্ছে না। বরং ডিপো তে অবস্থিত ঐ ডেট এক্সপায়ার্ড হওয়া বস্তা গুলোর লেভেল ও তারিখ পরিবর্তন করে নতুন তারিখ ব্যবহার করে দোকানদার ও ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ মালের লেভেল চেঞ্জ করে বাজার খারাপ পন্য বিতরন করে যাচ্ছে।
এই কোম্পানির কর্মীরা জানিয়েছেন যে, কোম্পানির মালিকপক্ষ দীর্ঘদিন পর্যন্ত, কর্মীদেরকে কোন বেতন দেন নাই। যদিও চাকুরীতে নিয়োগের সময় কর্মীদেরকে বলা হয়েছিল জিরো সেলস না হলেই তারা বেতন পাবে।
কিন্তু এখন হঠাৎ-ই শুরু হয়েছে প্রতারণার মুল কৌশল। কর্মীদের এখন বলা হচ্ছে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ২৫ (পঁচিশ) টন ফিড বিক্রি করতে না পারলে, কোম্পানি কোন প্রকার বেতন দিবে না।
সেই সাথে কোম্পানি সব প্রকার পন্য ডেলিভারি বন্ধ করে দিয়েছে, পন্য না দেয়ার কারনে কর্মীরা পন্যের মার্কেটিং করতে পারছে না। আর কোন প্রকার বেতনও দিচ্ছে না। কর্মীরা যখন এই সমস্যার সমাধান চেয়ে মালিকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে তখন মালিকপক্ষ জানান যে তারা রংপুরের ডিপোতে এসে সবার সাথে কথা বলবে, কিন্তু আসব বলে আশ্বাস দিলেও আজপর্যন্ত আসে নি। অনেক দিন যাবত মালিকপক্ষ বসার আশ্বাস দিলেও তারা না আসায়, কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে মিডিয়ার নিকট আসে এবং অভিযোগ করেন। যাতে করে কর্মীরা তাদের ন্যায্য বেতন বুঝে পায় এটাই তাদের প্রাণপণে আবেদন।
Leave a Reply