পঞ্চগড়ে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী (৫ )মাসের অন্তঃসত্ত্বা ন্যায্য বিচারের দাবিতে অভিযোগ করল বাবা ।
ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের সাতমেরা ইউনিয়নের ভেলকু পাড়া গ্রামে ।
সূত্রে জানা যায়, হতদরিদ্র মোঃ আনারুল ইসলাম, দীর্ঘদিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকায়, তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একই ইউনিয়নের কাক পাড়া গ্রামের মোঃ সপিজুল ইসলামের লম্পট ছেলে মোঃ রাজু, (২৩) মোঃ আনারুল ইসলাম এর স্কুলপড়ুয়া কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর সাথে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করে।
এবং লম্পট রাজু কাউকে না বলারহুমকিও দেয়, এভাবেই চলতে থাকে লম্পট রাজুর অবৈধ কর্মকাণ্ড।
এরইমধ্যে ওই কিশোরীর বাবা মোঃ আনারুল ইসলাম ৬০ হাজার টাকা যৌতুকের বিনিময় স্কুলপড়ুয়া কিশোরী বিয়ে দেয়।
বিয়ের পর জানতে পারে ওই স্কুলপড়ুয়া কিশোরীর (৫) মাসের অন্তর সত্তা।
মুহুর্তের মধ্যে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরে।
এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা মোঃ আনারুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান।
আমার মেয়ের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সফিজুল এর ছেলে, রাজু আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে আমি এর বিচার চাইতে গেলে এলাকার মাতাব্বর,জহিরুল ইসলাম ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলেন।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ধর্ষক রাজু ও তার বাবা কে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান, এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন যেই ছেলে মেয়েটির সাথে এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করেছে তাকেই এই দায়ভার নিতে হবে, তা না হলে কিশোরীর বাবা কে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কেননা নারী-শিশু এর বিষয়টি আমাদের আয়ত্তের বাইরে।
এই বিষয়গুলো চিফ জুডিশিয়াল আদালত এর মাধ্যমে ফায়সালা দিয়ে থাকেন এখানে আমাদের করার কিছু নেই।
Leave a Reply