পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় দিন-বাদিন ভূমিদস্যুতা ও ভুমিখেকোদের তৎপরতা যুগযুগ ধরে কমবেশি চলে আসছে রাঙ্গাবালী উপজেলায় ।
অন্যের জমি দখল করা, ভুমিখেকোদের কাজ। সর্দার, লাঠিয়ালরা সাধারনত এ কাজ করে থাকে। কিন্তূ, ভুমিখেকো হিসেবে কোন নারীর নাম ইতোপুর্বে শোনা না গেলেও, এবার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে।
সর্দার, লাঠিয়াল দিয়ে নয়। মিথ্যে মামলা ওই নারীর হাতিয়ার। উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে ওই নারীর বিরুদ্ধে গত ৩১শে আগষ্ট বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানিয়েছে ঐ নারীর বিরুদ্ধে ।এসময় মানববন্ধন করেন তারা। গত মঙ্গলবার বেলা সারে ১১ টার দিকে কোড়ালিয়ার বিলে এ কর্মসুচী পালন করা হয়।
স্থাণীয়রা জানান, কোড়ালিয়া গ্রামের মনু কাজীর মেয়ে পারুল বেগম (৩৫) একজন ভুমি খেকো মহিলা। অন্যের জমি দখল করা তার নেশা। এলাকায় মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। তার নিকটাত্মীয়দের নিয়ে অন্যের জমি দখল করে। প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরিহ লোকদের হয়রানি করে। এলাকাবাসী জানান, এ পর্যন্ত ঐ নারী কত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তার কোন হিসাব নেই। এ জন্যই কোন সন্মানি ব্যক্তি ওই মহিলার বিরুদ্ধে কথা বলেনা। কিছু বললেই পরতে হয় মিথ্যা মামলায়। ইদানিং মিরাজ মুন্সী, ছাত্তার প্যাদা গং দের ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভোগ দখলীয় জমি পারুল ও তার সহযোগীরা দখল করার পাঁয়তারা শুরু করলে, টের পেয়ে জমি মালিক ও স্থাণীয়রা প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেন। পারুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের জোড় দাবী জানাচ্ছে অসহায়পরিবারগুলো।
এ ব্যপার পারুলে’র কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন,কোথাও বসাবসি হলে তারা কেন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনা। আমি মারপিট করিনি। তারা হয়ত আমাকে সমাজে হেও প্রতিপন্ন করার পায়তারা চালিয়ে,আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে। আমি এব্যাপারে কিছুই জানি না। এমনটাই জানান তিনি।
Leave a Reply