বরগুনার কৃষকরা এখন ধান কাটা ও মারাই এর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাড়াইয়ের পর শুরু হয় ধানের খড় শুকানো। খড় কুটা স্তুপ করে রাখা হয় পাকা সড়কের ওপর শুকনো জন্য । এসব কাজের সবই চলছে ব্যস্ততম বরগুনা সদর বেতাগী বামনা পাথরঘাটা বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর। এতে গ্রামীণ সড়ক ও মহাসড়কের বড় একটি অংশ বেদখল হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সরেজমিন দেখা যায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেত থেকে ধান কেটে স্তুুপ করে রাখা হয়েছে। পাশেই ওই সব ধান ইঞ্জিন চালিত যন্ত্র ধানের মাড়াই মেশিন দিয়ে মাড়াই করা হচ্ছে। মাড়াই শেষে ধান বাড়িতে নিয়ে গেলেও খড় সড়কের উপরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখছে। সড়কের পাশে শুকানো হচ্ছে ওই সব খড়। অনেকে খড় শুকোনোর পর সড়কের পাশেই রেখেছেন। বাইনচটকী, নাচনাপাড়া, কাঠালতলী, বেতাগী, মোকামিয়া, চান্দুখালি বাইপাস সড়ক, কুমড়োখালি সহ ছোট-বড় বিভিন্ন সড়কেও ধান মাড়াই ও খর শুকানোর চিত্র দেখা গেছে এবং বরগুনা সদর গৌরিচন্না, ফুলঝুরি, ঢলুয়া, পরীরখাল, লেমুয়া, কাঠালতলী, চৌমুহনী, বামনা, বুকাবুনিয়া, ডৌয়াতলা। বাসও মিনিবাস চালকরা জানান মিনি বাস কর্তৃপক্ষ তাদের একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়। ওই সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে না পারলে পরের দিন ট্রিপ বাতিল করা হয়। কিন্তু মহাসড়কে ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজ করায় নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালানো যায়না। পথচারীরা বলেন আগে গৃহস্হের ধান মারাই করার জন্য অনেক খোলা জায়গা ছিল এখন তো নাই। তাই গ্রামের প্রায় সবাই রাস্তার উপরে ধান মাড়াইয়ের কাজ করে। মোটরসাইকেল চালকরা বলেন সড়কগুলোতে ধান মাড়াই ও শুকানোর সময় রাস্তায় মটরসাইকেল চলানো কঠিন হয়ে যায়। এসব রাস্তা পিছল হয়ে থাকায় একটু অসতর্ক হলেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। কৃষকরা জানান বাড়ির উঠান ছোট হাওয়ায় জমির ধান মাড়াই করতে অসুবিধা হয়। তাই খোলামেলা এ সড়কটি ব্যবহার করছেন। দুর্ঘটনার আশঙ্কা করে তিনি বলেন কি করব বাড়িতে জায়গা না থাকায় রাস্তায় ধান মাড়াই করতেছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান সচেতন মহল। তবে সড়কের ওপর প্রতিবদ্ধকতা কেউ তৈরি করে জাতে যান চলাচলে বাদাও জনদূরভোগ সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে কৃষকদের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন বেতাগী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন।
Leave a Reply