নিজস্ব প্রতিবেদক || মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে গত কয়েক দিন স্বল্প আকারে ফেরি চালানো হলেও গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ছোট-বড় ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে ঈদে ঘরমুখী দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের। এদিকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় শিমুলিয়া ঘাটে বেড়েছে প্রচণ্ড যাত্রী ভীড়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, সকাল থেকে কয়েক হাজার যাত্রী ঘাটে জড়ো হয়েছেন। যাত্রীদের চাপ এত বেশি যে বাংলাবাজার থেকে আসা ফেরিগুলোকে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
ঘাটসূত্র ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত কয়েক দিন এ ঘাট দিয়ে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল করেছে। ঈদের ছুটিতে দক্ষিণবঙ্গগামী জেলার মানুষ বাড়ির দিকে ছুটছেন। আজ বুধবার সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। যখনই একটি ফেরি ঘাটে ভিড়তে দেখেছেন, তাতে হুমড়ি খেয়ে যাত্রীরা উঠে পড়ছেন। শিমুলিয়া ঘাটের যাত্রীদের চাপে বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা যাত্রীরা ফেরি থেকেও নামতে পারছেন না। প্রতিটি ফেরিতে এখনো যানবাহনের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা বেশি দিয়ে পদ্মা নদী পার করা হচ্ছে।
আজ সকালে শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশদ্বারে দেখা যায়, পুলিশ নিরাপত্তাচৌকি বসিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীদের যানবাহন আটকে দিচ্ছে। পুলিশের কড়াকড়ির কারণে যানবাহন ছেড়ে নামতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা। তবে পুলিশের সামনে দিয়েই হেঁটে ঘাটের দিকে রওনা করেছে যাত্রীদের ঢল। ঘাটে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ল যাত্রীদের এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে ফেরির জন্য দৌড়াচ্ছেন। দুই ও তিন নম্বর পন্টুনে হাজার হাজার যাত্রী। ঘাটে ফেরি ভেড়ামাত্রই যাত্রীরা উঠে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে ফেরির লোহার দেয়াল টপকে ফেরিতে উঠছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘাটের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারও চায় না মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌযান ও চোরাই পথে পদ্মা পাড়ি দিক। আবার ঈদে বাড়ি ফিরতে গিয়ে দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাক। তাই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ দিয়ে সব কটি ফেরি চালানো হচ্ছে। যাত্রী চাপ বেড়েছে। ঘাট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কোনোভাবে এতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমানো যাচ্ছে না।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘাটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ১৩ থেকে ১৪টি ফেরি চলছে। আজ সকাল থেকে এ ঘাটে কয়েক হাজার যাত্রী জড়ো হয়েছেন। আজ ঘাটে প্রচণ্ড যাত্রী চাপ রয়েছে। যাত্রীদের নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের। চাপ এত বেশি যে বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা ফেরিগুলোকে আনলোড করা সম্ভব হচ্ছে না। যখন একটি ফেরি ঘাটে বেড়ানো হচ্ছে, যাত্রীরা সেখানে চেপে বসছেন। কোনোভাবেই তাঁদের ফেরি থেকে নামানো যাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই যাত্রীসহ ফেরিগুলো বাংলাবাজার ঘাটে পাঠানো হয়। এ মুহূর্তে ঘাটে ছোট–বড় তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে।
আরো দেখুন
এল কে ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে বিধবা নারীদের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান।।
মুক্তি টিভিতে বিশেষ মুভি দেখুন : আপনারা দেখছেন বাংলা সিনেমা রানওয়ে
Leave a Reply