শেরপুরের শ্রীবরদীতে ধর্ষণের শিকার হয়ে ৩য় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশী জেঠা আব্দুল হাকিম উরফে ভুষি (৫০) ফুসলিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। শনিবার বিকেলে এমন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার পুরান শ্রীবরদী গ্রাম থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা লাল চাঁন বাদী হয়ে ধর্ষক আব্দুল হাকিম ভুষিসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ জানায়, ভিকটিম উপজেলার নয়ানি শ্রীবরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ।করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতেই থাকতো ওই শিক্ষার্থী। ৫ মাস আগে প্রতিবেশী আব্দুল হাকিম ভুষির স্ত্রী ও কন্যা ঢাকায় চলে যায়। এ সুযোগে ওই শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে সে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই শিশুকে নিয়ে তার পরিবারের লোকজন ঢাকায় যাবে এমন খবরে ওই শিশুকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরে এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশি বসে। এতে সালিশিতে শিশু অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। বিয়ের বিষয়ে রাজি না হয়ে ভিকটিমকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে শারীরিক পরীক্ষা করা হলে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রিপোর্ট আসে।, ভিকটিম পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করতে বিজ্ঞ আদালতে নেয়া হবে। পরবর্তীতে মেডিকেল পরীক্ষা ও বয়স নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সাথে জরিতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply