পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নৌ- পুলিশ এএসআই মামুন এর নেতৃত্বে চার পুলিশ সদস্যের ধাওয়ায় (নির্যাতনের) কলাপাড়া চরবালিয়াতলী গ্রামের মৃত্যু সত্তার হাওলাদারের পুত্র মোঃ সুজন হাওলাদাল (৩০) গত ২১/৯/২১ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে । এ ঘটনায় এ এসআই মামুন সহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিক্তিতে প্রাথমিক অবস্থায় পায়রা বন্দর নৌ- পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মামুন, কনেস্টবল সাজ্জাদ,সুমন, ও রিয়াদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ ও নৌ- পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি দুদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করবেন বলে জানা গেছে। নিহত সুজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এব্যাপারে কলাপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। চরবালিয়াতলী গ্রামের পাঁচ জেলেসহ একটি ট্রয়লার মাছ শিকারের জন্য রমনাবদ নদীতে যায়। তখন বানাতিবাজারের পায়রা বন্দর নৌ- পুলিশ ফাঁড়ি এএসআই মামুনের নেতৃত্বে চার পুলিশ সদস্য নিয়ে টহলে যান। এ সময়ে এএসআই মামুন নেতৃত্বে জেলে সুমন হাওলাদারকে মারপিট করে মেরে ফেলেছে বলে স্হানীয়রা দাবী করে। এঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী চার পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে।পরে জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,কলাপাড়া থানা পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্হল থেকে লাশ ও পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে কলাপাড়া থানায় নিয়ে আসে। স্হানীয়রা এএসআই মামুন এর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছেন। জেলেরা প্রকাশ্যে মামুনের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন। প্রত্যেক জেলে ট্রলার থেকে মাসোয়ারা আদায় করত মামুন। যে চাঁদা দিতে অস্বীকার করত তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করত মামুন। এমনকি লালুয়া ইউনিয়নের মানুষের ঘরোয়া বিরোধের ঘটনায় যখন -তখন যে কাউকে ফাঁড়িতে ডেকে এনে মারপিট করাত এব্যাপারে লালুয়া ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত্যু সেলিম তালুকদারের স্রী পিয়ারা বেগম এর পাকা ধান আলম তালুকদার এর ছাগলে নষ্ট করলে তারপুত্র শওকত তালুকদার প্রতিবাদ জানালে আলম তালুকদার গত বছর নভেম্বর মাসে শওকতকে ফাঁড়িতে ডেকে এনে শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালিয়ে শওকতের ডান কানে থাপ্পর দুয়ে গুরুতর আহত করে। এতে শওকত তালুকদার এর কানের শ্রবন শক্তি হারিয়ে ফেলে।
এছাড়াও এএসআই মামুনের সহায়তায় তার ভাড়াটিয়া বাসার মালিক নাজির হাওলাদার তার ভাই মোঃ মজিবুর রহমান হাওলাদারের এসএ ৯৬ নং খতিয়ানের খরিদীয় ০.১৮৫৬ একর ভুমি দখল করে।
এএসআই মামুনের নেতৃত্বে দখল বানিজ্যের অভিযোগে গত ৩০ নভেম্বর ২০২০ ইং ও ৪এপ্রিল ২০২১ তারিখে পৃথক পৃথক দুটি মামলা কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রুজু করা হয়েছে।
চান্দুপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর পুত্র মোঃ জাকির হোসেন হাওলাদার ও জাকির হোসেন হাওলাদার এর স্রী রাহিমা বেগমক তাদের বাড়ীর সামনে বদ্ধ খালে জাল দিয়ে মাছ ধরার কারনে হাতে কয়রা লাগিয়ে শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালায় তখন জাকিরের স্রী রাহিমা বেগম তার স্বামীকে রক্ষাকরতে এগিয়ে আসলে মামুন রাহিমা বেগমকে লান্জ্ঞিত করে। পরে জাকির হোসেন হাওলাদার স্হানীয় চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস এর মাধ্যমে শালিস বসিয়ে পাঁচ হাজার টাকা চিকিৎসা বাবদ জরিমানা দিয়ে কোনো মতে রক্ষা পায়।এছাড়া চলতি বছরের মে মাসের প্রথম দিকে শুক্রবার সন্ধ্যা বেলা মাঝের হাওলা গ্রামের আমির হোসেনকে ফাঁড়িতে এনে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে ইয়াবা মামলার ভয়ে দেখিয়ে দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে আমির হোসেন প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
এছাড়াও আরো অসংখ্য অভিযোগ আছে এএসআই মামুনের বিরুদ্ধে।
Leave a Reply