পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার মদন পরা ইউনিয়নের দ্বীপাশা গ্রামে জমি লিখে না দেয়ায় সন্তানদের নিয়ে স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় পটুয়াখালী বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মা:মলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা ও স্হানীয় সুত্রে জানা যায় বাউফল উপজেলার মদনপহরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের বাসিন্দা মৃত করিম আলী ফকিরের পুত্র মফিজ উদ্দিন ফকির ওরফে চারু ফকিরের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে গলাচিপা উপজেলার বড় বাইশদিয়া ইউনিয়নের গঙ্গার চর গ্রামের জয়নাল মিয়ার কন্যা রেবেকাকে বিয়ে করেন ২৫ বছর আগে। দীর্ঘ দিন সংসার জীবন খুব ভাল ভাবেই কাটছিল তাদের। হঠাৎ স্ত্রী রেবেকার মনে দূরবিসন্ধি আটল।
এ দিকে রেবেকার ঘরে মফিজ উদ্দিন এর তিনি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। বড় ছেলে জাহিদুল গার্মেন্টস কর্মী মেঝ ছেলে মিরাজ বিভিন্ন অপরাধ কান্ডে জড়িত, ছোট ছেলে স্হায়ী একটি মাদ্রাসায় হাফিজি পড়ে।
ঘটনার দিন গত ১৪ ই মার্চ মফিজ উদ্দিন প্রতি দিনের মত রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী কে নিয়ে ঘুমিয়ে পারেন। হঠাৎ মধ্য রাতে স্ত্রী তার দুই পুত্রকে নিয়ে মফিজ মিয়াকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলেন।প্রস্তাব করলেন জমি লিখে দেয়ার জন্য। কিন্তু মফিম উদ্দিন রাজি হলেন না।কারন তার আগের স্ত্রীর ঘরেও সন্তান আছে।এক পর্যায়ে দুই পুত্র ও স্ত্রী মিলে মফিজ উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।এক পর্যায়ে মফিজ অজ্ঞান হয়ে পরে।সাড়া রাত হুশ না ফিরলে সকাল বেলা স্হানীয় লোকদের সহযোগিতায় মফিজকে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করেন।পাষান্ড স্ত্রী মফিজ কে একা হাসপাতালে রেখে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি চলে আসে।এবং বাড়ির মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।মফিজ উদ্দিন সুস্থ হয়ে বাউফল থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।
মামলার ঘটনা জানার পর পুত্র মিরাজ মুঠোফোনে মফিজ কে মামলা তুলতে বলে।মিরাজ হুমকি দিয়ে মফিরকে বলে যদি মামলা না তুলো তবে তোকে মেরে ফেলন।
এলাকাবাসী এই লোমহর্ষক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
Leave a Reply